আরিফুল ইসলাম জিমন◊◊◊
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন দিনাজপুর-৬।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এ আসনে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। সেইসাথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনাও রয়েছে লক্ষ্য করার মতো।
নেতাকর্মীরা ছাড়াও বেশিরভাগ মানুষদের দাবী স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে এ আসনে কাউকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
এবারের নির্বাচনে ঘোড়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাফে খন্দকার সাহানশাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুর রাফে খন্দকার সাহানশা ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ঘোড়াঘাট উপজেলার শাখার সাধারণ-সম্পাদক নির্বাচিত হন।
৬ বছর সাধারণ-সম্পাদক থাকার পর ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
তারপর থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০০৪ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২টি কাউন্সিলের মাধ্যমে টানা ১৮ বৎসর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে নৌকা প্রতীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
এরপর ২০২২ সালের ৮ই মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
সাহানশা ঘোড়াঘাট উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র রানীগঞ্জ বাজার এলাকার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা মৃত আব্দুর রহিম খন্দকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাফে খন্দকার সাহানশা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি দিনাজপুর-৬ আসনে আমাকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেন ইনশাআল্লাহ্ আমি বিজয়ী হব।
আমি চার উপজেলার ত্যাগী নেতাকর্মীদের সন্মান ফিরিয়ে দিতে চাই এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ জনগণের পাশে আজীবন থাকতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে সবসময় প্রস্তুত।