নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে বাংলাদেশ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে প্রধান বাঁধা হচ্ছে দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বিজয়ের সূবর্ণ জয়ন্তিরর প্রাক্কালে বলতে হয় অনেক দিকে উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু লাগামহীন দুর্নীতি কারণে জনগন সে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছে না।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে জননেতা আনোয়ার জাহিদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর থেকে প্রায় ৫ দশক হতে চলেছে। প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তি মিল হচ্ছে না এখনও। তবু আমরা আশাবাদী হতে চাই। প্রকৃত অর্থে দেশ স্বাধীন হলেও রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক মুক্তি হয়নি। সবাই যেভাবে আয় করে সে তুলনায় ব্যয় অনেক বেশি। আবার রাজনৈতিক অধিকারগুলি কমে গেছে। আগে যেভাবে অনেককিছু বলতে পারতো এখন আর সেভাবে পারে না।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, দেশে চরম দারিদ্র্য না থাকলেও, অথবা শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, মাথাপিছু রোজগার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও, অর্থ-বিত্তের দিক থেকে মানুষের মাঝে বৈষম্য কিংবা শহর গ্রামের ফারাক আজও প্রকট। আবার সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মানুষের অশংগ্রহণ কেবল নির্দিষ্ট শ্রেণীর মাঝে সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিজয়ের ৪৯বছরে রাজনৈতিক সহনশীলতার অভাব বড় ধরনের সংকট তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যের অভাব। হিংসা এবং প্রতিহিংসা তাদের মধ্যে। এটা একটি কঠিন অবস্থা আমাদের জন্য।
এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা এনামুজ্জামান চৌধুরী , জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, জয়বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লা নাফিয়ী, কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, লোকশক্তি পার্টির সভাপতি শাহিকুল আলম টিটু, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, সেলিম মিয়াজী, কবি জুলহাস চৌধুরী পলাশ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ডিসেম্বর মাসটি একদিকে যেমন অপার দুঃখ ও শোকের স্মৃতি বহন করে, অন্যদিকে বয়ে আনে বিজয়ের আনন্দ। তবে সবচেয়ে যা বেশি প্রয়োজন তা হলো আত্মসমীক্ষা। শুধু স্বনামধন্যরা কী বলেন, তা শুনলে জাতি এগোবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীন দেশের নাগরিকেরা খুব বেশি কিছু চায় না। তারা চায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার। এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের জন্যই স্বাধিকার আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছে।