নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২শ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণতন্ত্রের পক্ষে সাদা পতাকা হাতে শান্তি মিছিল করেছে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসে বাবলা ।
বুধবার দুপুরে তার নিজ নিবাচর্নী এলাকা রাজধানীর শ্যামপুরের পোস্তগোলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে দোলাইরপাড় চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আবু হোসেন বাবলার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই শান্তি মিছিলে স্থানীয় জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার নেতাকর্মীা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মিছিল পুর্ব শান্তি সমাবেশে সাংসদ বাবলা বলেন, ২০১৪ সালে দেশের ক্রান্তিলগ্নে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে জাতীয় পার্টির গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার জন্য নির্বাচনে অংশ নেয় । একই ভাবে ২০১৮ সালেও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আসন ভিত্তিক সমাঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন পৃথিবীর বড় বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও হয়ে থাকে। এটি রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালেও জাতীয় পার্টি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচন করেছিলো । এর মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি যেমন দেশের গণতন্ত্র সংবিধান সম্মুন্নত রাখার সহায়ক শক্তি হিসেবে দেশ বিদেশে সমাদৃত হয়েছে, ঠিক তেমনি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতেও জাতীয় পার্টি মুখ্য অবদান রয়েছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা , কে. এম সোবহান,সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, আক্তার হোসেন দেওয়ান, শেখ মাসুক রহমান, সুজন দে, শাহনাজ পারভিন শ্যামপুর থানা জাপার সভাপতি কাওসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লা, কদমতলী থানর সভাপতি শামসুজ্জামান কাজল, জাপা নেতা জহিরুল ইসলাম জহির, হানিফ সর্দার।
বাবলা আরো বলেন, জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য জাতীয় পার্টির সকল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আজ দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেৃতৃত্বেই নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু করেছি। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল কর্ণফুল নদীর ওপর আমরাই নির্মান করছি। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই, আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযক্তিসহ সর্বক্ষেত্রে আমরা অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করতে পারছি। আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র । তাই কোনো অপশক্তি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ রুদ্ধ করতে পারবে না।