আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) না থাকায় চলতি অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন টিআর ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রকাশ,গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে বদলী করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের।
পরে গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার এক আদেশে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে অতিরিক্ত (দায়িত্ব) হিসেবে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
একজন পিআইও দুই উপজেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কয়েকশ’ প্রকল্প দেখাশোনা,প্রাক্কলন তৈরী সম্ভব না হওয়ায় এসব প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কাজ না করেই অনেকে তুলে নিচ্ছে প্রকল্পের টাকা। ফলে বাধ্য হয়ে এসব প্রকল্প দেখ ভাল করার দায়িত্ব পালন করছেন অফিস পিয়নরা।
শুধু তাই নয় অফিসার না থাকার সুযোগে পিয়ন/উমেদার আনিছুর রহমান (আনিছ) সরকারি ত্রাণ ভান্ডার থেকে ইচ্ছেমত শীতবস্ত্র কম্বল বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের এই দায়িত্ব পালন করছেন অফিস পিয়ন/উমেদার আনিছুর রহমান (আনিছ)। তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় এই উপজেলায় তার ক্ষমতার দাপট লক্ষনীয়।
ত্রাণ ভান্ডার থেকে কম্বল কিভাবে একজন পিয়ন/উমেদার বিতরণ করতে পারে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন,এটা হওয়ার কথা নয়। আমি শীঘ্রই ত্রাণ ভান্ডারের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
উল্লেখ্য,পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস পিয়ন/উমেদার আনিছুর রহমান আনিছ দীর্ঘদিন যাবৎ এই দায়িত্ব পালন করা কালে বিভিন্ন সময়ে বদলির আদেশ হলেও অজ্ঞাত খুঁটির জোরে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করে যাচ্ছেন পলাশবাড়ীতেই। কখনো দেখা যায় উপজেলা প্রকৌশলীর ভূমিকায়,কখনোবা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পরিচয় বহন করতে দেখা যায় সেই সাথে নিজের প্রভাবশালী আত্মীয় স্বজনের পরিচয় বহন করে উপজেলায় বিভিন্নরকম বেআইনি কাজের সাথে লিপ্ত থেকে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
এছাড়াও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পলাশবাড়ী পৌর শহরে কোটি টাকার অধিক মূল্যের বাসা বাড়ী সামান্য উমেদার/পিওন পদ থেকে কিভাবে ক্রয় বা তৈরী কিভাবে সম্ভব তাও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার বলে সচেতন অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।