নরসিংদী প্রতিনিধি:
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা প্রতিরোধে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর, নিলক্ষা এবং নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে র্যাব-১১ নরসিংদীর একটি চৌকস অভিযানিক দল গতকাল মঙ্গলবার ভোটে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ‘স্বাধীন বাহিনী’র প্রধান স্বাধীনসহ দলের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো; স্বাধীন বাহিনীর প্রধান আব্দুস সাত্তার ওরফে স্বাধীন, কালন মিয়া, নাজির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জুয়েল, আবুল হোসেন, মো: আনিছ, খোকন মিয়া, মিজানুর রহমান, আইয়ুব আলী, নাসির ও লিটন, এদের সকলের বাড়ী রায়পুরা উপজেলার মির্জারচরে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি রিভলবার, ২ রাউন্ড রিভলবারের গুলি, ১টি ইউএস-এর তৈরী শর্ট গান, ২৯ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ১টি ওয়ান সুটার গান, ৬টি রাম দা, ১টি ছুড়া, ১টি তলোয়ার, ১টি কিরিচ, ২টি সামুরাই, ১টি চাপাতি, ৩টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, নগদ ৮ হাজার ৮৮০ টাকা এবং ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার র্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, পিএসসি এক সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য উপাথ্য উপস্থাপন করেন। অভিযানের সংবাদ পেয়ে নিলক্ষা ও আলোকবালীর চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীরা আত্মগোপন করে কিন্তু নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন মির্জারচর এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় কুখ্যাত স্বাধীন বাহিনীর প্রধান স্বাধীনসহ দলের অন্যান্য সদস্যরা র্যাবের আভিযানি দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলিবর্ষণ শুরু করে। র্যাবও জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। প্রচন্ড গোলাগুলির এক পর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হত্যা মামলার আসামীসহ পতলাতক কুখ্যাত সন্ত্রাসী স্বাধীনসহ অন্যান্যদের আটক করতে সক্ষম হয়। গোলাগুলির সময় সন্ত্রাসীরা ২৫/৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। র্যাবও তাদের উদ্দেশ্যে ১২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে র্যাব অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান। স্বাধীন বাহিনীর সদস্যরা চাঁদাবাজী, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হত্যাসহ ব্যাপক সহিংসতা করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। রায়পুরা থানার মির্জারচর এলাকায় তাদের অপকর্মের ধারাবাহিকতায় অপরাধ সংঘটনের জন্য সমবেত হওয়ার গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব এ অভিযান চালায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা মির্জারচর এলাকায় চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী উক্ত আসামীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধরা ছোয়ার বাইরে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানাসহ অন্যান্য থানায় খুন, হত্যাচেষ্টা, মাদক মামলাসহ একাধিক অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র প্রদর্শন করে আধিপত্য বিস্তার করতো বলে র্যাব জানায়।