নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের বিতর্কিত বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন নৌকা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাঁপ।তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগসহ এলাকায় নানা প্রকার অপরাধ মূলক মামলার আসামি বনে গেছেন।তেমনী তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হামলা-মামলা লাগাতার বেড়েই চলছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনা চোরাচালান মামলার আসামি তিনি। তবে আলী হোসেনের দাবি— এটি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকাবাসীর নানান অভিযোগ।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ আগস্ট মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে আসা বিজি-৮৭ ফ্লাইটের যাত্রী নারায়ণগঞ্জের বাসেদ মিয়ার ছেলে মো. আল আমিনের স্কুলব্যাগ তল্লাশি করে ৫টি ১ কেজি, ৫০০ গ্রামের ১টি এবং ১৮টি ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার বারসহ মোট ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২৬টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে গ্রেফতারকৃত আল আমিন ওই বছরের ২৬ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আল আমিন তাঁর জবানবন্দিতে উল্লেখ্য করেন, আলী হোসেন চেয়ারম্যানসহ একটি সিন্ডিকেট ওই সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা সিএমএম আদালতে চেয়ারম্যানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে চাজর্শিট দাখিল করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান আলী হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ৯ মার্চ অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সেই তদন্তেও উঠে আসে আলী হোসেন চেয়ারম্যানের নাম।
তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও ছয় বছর অজানা কারণে তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
হাইজাদী ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা খোকন মিয়া বলেন, নলকূপের জন্য আলী হোসেন চেয়ারম্যানকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও তিনি নলকূপ পাননি।
হাইজাদী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু সিদ্দিক বলেন, আমাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন না চেয়ারম্যান। তিনি এখন হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতাদের মূল্যায়ন করেন।
এবিষয়ে হাইজাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকেরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি সোনা চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত নই।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা মামলার বিষয়ে বলতে পারবেন।