নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা: ঢাকা ৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এবার নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে হবে। এটা সিল মারামারি নির্বাচন না। এজন্য আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন নৌকার প্রতীকে ভোট দিবেন।
তিনি বলেন, আমাকে আপনারা জয়যুক্ত করলে অবহেলিত এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাবো। আশা করি আপনারা সেই সুযোগটুকু করে দিবেন। আমি আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সব সময় কাজ করবো ইনশাল্লাহ।
আজ মাতুয়াইল ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মনু বলেন, ডেমরা এলাকাটা সংখ্যালঘু এলাকা, আসলে সংখ্যালঘু বললে ভুল হবে। যাদেরকে আমরা সংখ্যালঘু বলি, তারা এদেশের সন্তান তাদের পূর্বপুরুষ এদেশে বসবাস করেছেন। তারা একটু সংখ্যায় কম হয়েছে বিধায় আমাদের অনেকে তাদেরকে সংখ্যালঘু বলেন। আমি তাদেরকে সংখ্যালঘু বলবো না, কারণ পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের সময় এ দেশে আমরা তাদের সঙ্গে মিলেমিশে সমান ভাবে বসবাস করেছি। তখন তাদেরকে সংখ্যালঘু বলা হতো না।
মনু বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হলো ফিঙ্গারের মাধ্যমে আপনাদের ভোট দিতে হবে। আপনারা যদি ভোটকেন্দ্রে না জান এবং ভোট না দেন তাহলে সমস্যা হতে পারে। তিনি বলেন, আশা করি আপনারা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন নৌকার প্রতীকে ভোট দিবেন। ভোট দিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে দেখবেন ধানের শীষ পেয়েছে ৫টা নৌকায় ভোট পড়েছে ৫ হাজার।
এ সময় কাজী মনিরুল ইসলাম মনু মাতুইল ডেমরা সহ অত্র এলাকায় চাঁদাবাজ, বাড়ি দখল, সন্ত্রাস, নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেন।
সাধারণ মানুষকে তার ছোটবেলার স্মৃতি অনুসরণ করে বলেন, অনেকের সঙ্গে আমার উঠাবসা অনেকে আমার ছোট ভাই বন্ধু, বড় ভাই সবাই আপনারা আমাকে চেনেন। আমি আপনাদের এলাকার সন্তান। আমি বেশি কিছু বলবো না, দয়া করে আমাকে একটিবার আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার সুযোগ দিন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান সালাউদ্দিনের মত বহিরাগত না। আমি সংসদ সদস্য হলে আপনাদের এলাকায় যথেষ্ট উন্নতি হবে। কারণ এখানে আমার উঠাবসা। নিজস্ব একটা টান আছে। আর সালাউদ্দিন শ্যামপুরের তার যাত্রাবাড়ী নিয়ে কোন চিন্তা নাই।
তিনি বলেন, আমি অনেকদিন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম আপনারা কখনো বলতে পারবেন কাজী মনিরুল কখনো কারো টাকাপয়সা মেরে খেয়েছে। অথবা কারো জায়গা জমি দখল করেছে। আমি কখনো কোন অন্যায়ের সঙ্গে ছিলাম না। সাধ্যমত আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা সংসদ সদস্য হিসেবে একটিবার সুযোগ দিবেন।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিযোগ দিতে পারে আমি তাহলে এই যে নির্বাচনের পদে দাঁড়িয়েছি এই পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াবো। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা এ দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছি, আমি কখনো অন্যায় করি না।
তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে হবে এটা সিল মারামারি নির্বাচন না। এটা ফিঙ্গার এর মাধ্যমে ভোট দিতে হয়। আপনারা যদি ভোটকেন্দ্রে না জান এবং ভোট না দেন তাহলে আমি বিপদে পড়তে পারি। আশা করি আপনারা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন নৌকার প্রতীকে ভোট দিবেন। ভোট দিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে দেখবেন ধানের শীষ পেয়েছে ৫টা নৌকায় ভোট পড়েছে ৫ হাজার।
তিনি বলেন, নির্বাচনে পাশ করার তো অনেক সংজ্ঞা আছে আমি থার্ড ডিভিশনে, সেকেন্ড ডিভিসনে পাস করতে চাইনা। আপনাদের ভোটে আমি ফার্স্ট ডিভিসনে পাশ করতে চাই।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আপনাদের ভোটে ফার্স্ট ডিভিসনে পাশ করবো। পাশ করে নেত্রীকে ঢাকা ৫ উপহার দিবো নেত্রী ইনশাল্লাহ অনেক খুশি হবেন এবং আমাদের অত্র এলাকা উন্নয়নের জন্য আমাকে দিকনির্দেশনা দিবেন। আমি প্রিয় নেত্রীর নির্দেশে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী এলাকায় সরকারের উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত রাখবো।
মনু বলেন, আপনাদের গ্যাসের সমস্যা আমি গ্যাসের সমস্যা দূর করবো। আপনাদের পানির সমস্যা, খাওয়ার পানির ও সমস্যা আমি সেই পানির সমস্যা সমাধান করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করেন। আমি আপনাদের সবসময় পাশে থাকবো। এবং আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাশে পাবেন। আমার দরজা আপনাদের জন্য সব সময় খোলা।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হারুনুর মুন্না, ৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু (নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মুখপাত্র), যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, মাতুয়াইল এলাকার (ইউনিয়ন) সাধারণ সম্পাদক শান্তনুর শান্ত, মহিলা কাউন্সিলর লাকি প্রমুখ।