সকালের কাগজ ডেস্ক◊◊
মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকায় আনন্দ টেলিভিশনের সাংবাদিক তানজির খান রনির উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত রোববার রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকায় নবীনগর জামে মসজিদের সামনে চাঁদ ফার্মেসীর ভিতরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলার ঘটনায় আহত সাংবাদিক রনি গুরুত্বর ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছেন।
জানা গেছে, সাংবাদিক রনি দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম পেশায় সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে তিনি দেশের স্বনামধন্য বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভিতে সিটি রিপোর্টার হিসেবে বিএনপি বিটে কর্মরত আছেন তানজির খান রনি।
হামলার ঘটনায় ভূক্তভোগী সাংবাদিক তানজির খান রনি বলেন, ‘হামলাকারীদের চিনি না। তবে এর মধ্যে দুইজন পূর্বপরিচিত একজন হলেন মাসুদ আর অন্য একজন রোজি নামের। সম্ভবত এরা আগে থেকে আমাকে অনুসরণ করছিল। ওষুধ কেনার উদ্দেশ্যে চাঁদ ফার্মেসীর ভিতরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করে একদল কিশোর বয়সী বখাটে যুবক এসে প্রথমে আমাকে ঘিরে ধরে। ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা আমাকে জোর করে ভেতর থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করে এবং গালিগালাজ ধস্তাধস্তি করে। আমি তাঁদের হাতে তখন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি দেখতে পাই। এই দেখে আমি বুঝতে পারি তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছে, তখন আমি সাহায্য প্রার্থনা করি চাঁদ ফার্মেসীর মালিক স্বেচ্ছাসেবক দলের আদাবর থানার আহ্বায়ক হাসান ভাইয়ের কাছে।
তিনি বলেন, তখন হাসান ভাই এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাঁদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যায়। ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে এসে হামলা করে আমার বাড়ির থাই গ্লাস ভেঙ্গে দিয়ে যায়।
রনি বলেন, এই সন্ত্রাসীরা আমাকে শারীরিক ও মানসিক আহত করেও ক্ষ্যান্ত হননি, আমার সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যে কিছু ফেসবুকের ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে নিউজ করে আমাকে পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদাক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তারা। তারা আমার অফিসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। বাধ্য হয়ে আমি মোহাম্মদপুর থানার দারস্থ হয়ে অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান করি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী মাসুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ফেসবুকের ফেক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।