নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে প্রশ্ন উঠেছে সারা পৃথিবীর কত শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, অনেক দেশে গণতন্ত্রের নামে যা চর্চা হচ্ছে, দৃশ্যত গণতান্ত্রিক মনে হলেও মর্মবস্তুর দিক থেকে তা আদৌ গণতান্ত্রিক কি না, সে প্রশ্নই এখন প্রধান হয়ে দেখা দিয়েছে। যখন বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদী নেতাদের শাসনের লক্ষণ সুস্পষ্ট, এমনকি স্বৈরাচারী শাসকেরাও নিজেদের গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা হিসেবেই দাবি করেন। তবে, এখনো মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা বহাল আছে। আদর্শ হিসেবে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন। তারা বলেন, গত দেড় দশকে গণতন্ত্রের বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোতেও অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। যাকে কেউ বলছেন গণতন্ত্রের পতন, কেউ বলছেন বিপরীত স্রোত। ভি-ডেমের গবেষকেরা এই প্রক্রিয়াকে বলছেন স্বৈরাচারীকরণ—অটোক্রেটাইজেশন। তাঁদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, আমরা স্বৈরাচারীকরণের তৃতীয় ঢেউ প্রত্যক্ষ করছি। নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বের বহু দেশের মতো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও সঙ্কটের মুখে রয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গেল সংসদ নির্বাচন সঙ্কটকে আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছে। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি, প্রতিষ্ঠিত হয়নি অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি। ফলে বর্তমানে জনগন ভোটকেন্দ্রে যেতে সকল আগ্র হারিয়ে ফেলেছে। সরকারি দলের ব্যাপক প্রভাবে বিরোধী দলগুলো একরকম কোণঠাসা অবস্থায় পরে আছে। তারা বলেন, গণতন্ত্র আদতে ক্ষমতার রাজনীতি নয়, অধিকারের রাজনীতি। অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অর্জন অবশ্যই আমাদের গর্বিত করে। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে উন্নয়ন টেকসই হয় না। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।