নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
বুধবার ৩ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে সিলেট সীমান্তে উগ্রপন্থী ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ আগরতলায় দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন বলেন, অবিভক্ত ভারতের প্রতিটি ইট মুসলমানদের হাতে গাঁথা। বর্তমান ভারতের যত উন্নয়ন অগ্রগতি সবকিছু মুসলমানদের হাতে গড়া। অথচ ভারতে আজ মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত—নিপীড়িত, হত্যা—গুমের শিকার। তারা শুধু তাদের দেশে এই গুম হত্যা নির্যাতন সীমাবদ্ধ রাখেনি ১৯৪৭—এ ভারত বিভক্তির পর থেকে একে একে ষড়যন্ত্র করে আসছে। ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন পরবর্তীতে ১৯৭১ পাকিস্তান বিভক্তি এই ষড়যন্ত্রের অংশ। আমি ভারত কে করে হুশিয়ার করে বলতে চাই অনেক হয়েছে এবার থামেন। অনতিবিলম্বে ষড়যন্ত্র বন্ধ করেন আমরা চাইলে ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়ার সুপার পাওয়ার ব্যালেনসিপ রাখার জন্য আমরা ভারত ভাঙ্গার উদ্যোগ নেইনি। আপনাদেরকে সতর্ক করে বলতে চাই যদি আপনারা আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করেন আমাদের পানির অধিকার, সীমান্ত হত্যা বন্ধ না করেন, আপনাদের দোসর ৫ আগস্টের পরাজিত আওয়ামী হাসিনার আস্ফালন বন্ধ না করেন তাহলে আমরা ভারত নিয়ে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হব। তখন আর সেভেন সিস্টার আপনারা ধরে রাখতে পারবেন না। অনতিবিলম্বে আপনাদের প্রতি বলতে চাই সংখ্যালঘু রাম কার্ড খেলে ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধানোর নোংরা রাজনীতি বন্ধ করেন। দ্রুত আগরতলা দূতাবাস হামলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করেন। ইসকন নিষিদ্ধের ব্যাপার বাংলাদেশের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয় আপনারা এ বিষয়ে নাক গলাবেন না। বাংলাদেশের রাজনীতি পররাষ্ট্রনীতি কি হবে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় আপনাদের মাথা ঘামাতে হবে না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এ বিষয়ে আপনাদের মনে রাখা দরকার। কলকাতার বিজেপি নেতা শুভেন্দ্র বাবুকে থামান। সিলেটে যে ঘটনা ঘটেছে এর জন্য শুভেন্দু বাবুর উস্কানিমূলক বক্তব্য দায়ী। আমরা চাই আপনারা আমাদের প্রতিবেশী দেশ প্রতিবেশী দেশের সাথে কি ধরনের আচরণ করতে হয় এটা আপনাদের জানা থাকা দরকার। আশা রাখি আজকের পর থেকে আমাদের সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র সুলভ আচরণ করবেন, হিংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করবেন।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামিক টিভির এমডি কর্নেল (অবঃ) ফরিদুল আকবর, ৯০’র গণআন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জাগপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান আসাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাবেক ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব মোঃ রমীজ উদ্দিন রুমী প্রমুখ।