নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের একদিন পরই গত বুধবার সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে আওয়ামীলীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামীলীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় খুলনা বিভাগের অধীন মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ- এই চার জেলার সম্মেলন এবং সম্মেলন হওয়া বাকি সাত জেলার যেসব উপজেলায় সম্মেলন বাকি আছে সেগুলোর তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় মার্চ মাসের মধ্যে চার জেলার সম্মেলন শেষ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্মেলন হওয়া সাত জেলার যে উপজেলা বাকি আছে সেগুলো রমজানের আগে ও পরে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, গণতন্ত্রকে যারা বিশ্বাস করে তাদের প্রথমে রয়েছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সকল কর্মকা- পরিচালনা করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ৭ জন কর্মকর্তার নামে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা নতুন কিছু না। এর আগেও তারা বহুবার এ কাজ করেছে। বাস্তবে আমাদের এটা বুঝতে হবে দেশের জনগণ এ বিষয়ে কি ভাবছে। র্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি সরকার। র্যাবের ট্রেনিং, অস্ত্র সব কিছু যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে। দেশের জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ কাজ করে, এগিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের সকল অপপ্রচারকে প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। তাদের সকল গুজব আমাদের প্রতিহত করতে হবে। এর সঙ্গে তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে প্রতিহত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করব। আমাদের নিজেদের মাঝের সকল মতবিরোধ দূর করতে হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বেগম জিয়ার পুরস্কার নিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে রায় দিয়েছিল। সেখানকার যে কেউ তাকে পুরস্কার দিতেই পারে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর আগে পাওয়া পুরস্কার সম্পর্কে এতদিন কেন জানানো হলো না? হয় তো বেগম জিয়া নিজেই জানতেন না তিনি পুরস্কার পেয়েছেন!
সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মল হক বলেন, ইতোপূর্বে আমরা অনেকগুলো জেলায় বর্ধিত সভা করেছি। বর্ধিত সভা প্রথমে আমরা করেছিলাম মেহেরপুর জেলায়। সে সময় আমরা জেলার সবগুলো উপজেলায়ও সম্মেলনের তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলাম। এরপর মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ জেলায় বর্ধিত সভা করে জেলা-উপজেলার সম্মেলনের তারিখ ঠিক করি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সঠিক সময়ে কাউন্সিল করতে পারিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, আমিরুল ইসলাম।