সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বিএনপি জামাত আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একাধিকবার বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত মহান আল্লাহতাআলা তাকে প্রাণে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
উন্নয়নের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের দেশের জনগনকে নিয়ে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি জামাত জ¦ালাও পোড়াও দল। তারা ক্ষমতা থাকাকালীন দেশে লুটতরাজের মধ্যে দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
এ জ¦ালাও পোড়াও দল কখনো দেশের এবং মানুষের মঙ্গল চায়নি। আবার যদি কোনো ধরনের অরাজগতা সৃষ্টি করা হয় তাহলে তারা আর সুস্থ্য শরীরে ফিরে যেতে পারবে না বলে হুশিয়ারী করেন সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্যাহ।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিমিয় সভায় ফেনী-৩ আসনের সাবেক সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ এ সব কথা বলেন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সাইফুল্যাহ মো. খালিদ রাসেলের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আমির হোসেনের সঞ্চালনায় যুগ্ন সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমের সার্বিক তত্ত¡াবধানে সভায় নারায়ণগঞ্জের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় হাজী রহিম উল্যাহ আরো বলেন, প্রানের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ করার অপরাধে ২০০১ সালের এর ১ নভেম্বর পবিত্র শবে-বরাতের দিন সোনাগাজীতে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ভাই হাজী আব্দুল রশিদ সরকারকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে এবং ২০০৬ সালে ভাতিজা মাহফুজুর রহমানকে প্রকাশ্যে সোনাপুর বাজারে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। আমি ও আমার পরিবারের উপর নির্যাতন, হামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে অত্যাচার করেছে বিএনপি সরকার। আমাদের অপরাধ ছিলো আমরা আওয়ামীলীগ করি।
তিনি আরো বলেন, প্রানের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য ভাই ভাতিজা কেন নিজের জীবন দিতেও প্রস্তত্ত আছি। আমরা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিক তাই আমাদের মৃত্যুর ভয় নাই। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যুর মূখ থেকেও ফিরে এসেছি।
হাজী রহিম উল্যাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। বাংলাদেশ বিশ^ দরবারে আজ মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তা-ঘাট, কর্মসংস্থান সহ নানান ধরনের সুবিধা ভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষকে।