প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র (টিইউসি) সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহ—সভাপতি মাহবুব আলম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা, অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষসহ নিম্নআয়ের সাধারন জনগন এক সংকটময় অবস্থায় দিন জাপন করছে। গত কয়েক বছর ধরে মুক্তবাজার অর্থনীতির দাপট এবং মুনাফাখোর ফরিয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কারসাজিতে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধগতি বর্তমানে এমন অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে শ্রমিক কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে চলে গেছে। একদিকে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি এক টাকাও বাড়েনি, অন্যদিকে অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ জীবন ধারন ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক কর্মচারীদের প্রকৃত মজুরি কমে গিয়ে তাদেরকে এক অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশের শ্রমিক কর্মচারীরা আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত অধিকার, সামাজিক মর্যাদা ও সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। রানা প্লাজা, তাজরীন গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কলকারখানার ভবন ধ্বস, অগ্নিকান্ড ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী নিহত আহত হলেও আমাদের দেশের শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বাজার দর, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা, শিল্পের সক্ষমতা, মাথাপিছু জাতীয় আয় বিবেচনায় জাতীয় ন্যুনতম মজুরি কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা নির্ধারণ ও প্রতিবছর বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবী জানান। টিইউসি নেতৃবৃন্দ পরিবেশ রক্ষার্থে বন্ধকৃত পাটকল চালু, আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধন এবং শ্রমিক কর্মচারী ও নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য রেশন প্রথার মাধ্যমে সস্তা ও সুলভ মুল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি সরবরাহ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিন করে।