নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকায় ভাড়া বাড়ি হতে ২ বছর বয়সী শিশুপুত্রকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।মোবাইল ফোনে অপহরণকারী তার শিশুপুত্রকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে।
র্যাব-১১ একটি আভিযানিক দল সর্বশেষ গত (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা বন্দর থানাধীন উত্তর লক্ষণখোলা এলাকা হতে ইমরান হোসেন বাবু (৩৬) এবং মোছাঃ সানজিদা আক্তার(২৪) নামক দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। আসামী ইমরান হোসেন বাবুর বোনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আসামী মোঃ ইমরান হোসেন বাবু বন্দর থানার লক্ষণখোলা এলাকার মৃত মাজেদ হোসেনের ছেলে এবং সানজিদা আক্তার মোঃ ইমরান হোসেন বাবু’র স্ত্রী।
জিজ্ঞাসাবাদ জানাযায়, অপহৃত ভিকটিম শিশুটির পিতা মোঃ মিজানুর রহমান পেশায় একজন পিকআপ চালক। ভিকটিমের পরিবার ও অপহরণকারীরা প্রায় এক বছর ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি পাইনাদী এলাকায় পাশাপাশি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। পাশাপাশি বাসায় বসবাস করলেও ভিকটিমের পরিবার ও অপহরণকারীদের মধ্যে প্রতিবেশি হিসেবে কোন পরিচয় বা ঘনিষ্ঠতা ছিল না। ভিকটিমের পিতা মোঃ মিজানুর রহমান পিকআপ গাড়ী চালানোর উদ্দেশ্যে বাহিরে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অজ্ঞাতসারে অপহরণকারীরা স্বামী-স্ত্রী পরষ্পর যোগসাজশে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কৌশলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকাল শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বন্দর থানাধীন উত্তর লক্ষণখোলা দালাল বাড়ী জামে মসজিদের পাশে অভিযুক্ত মোঃ ইমরান হোসেন বাবুর বোনের ভাড়া বাসায় জিম্মি করে রাখে। অপহরণকারীরা ভিকটিম শিশুটিকে নির্যাতন করে শিশুর মা-বাবাকে মোবাইল ফোনে কান্নার আওয়াজ শুনিয়ে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে ভিকটিম শিশুটির বাবা র্যাব-১১ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরধারীর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা উত্তর লক্ষণখোলা হতে অপহরণকারী মূলহোতা মোঃ ইমরান হোসেনবাবু এবং সহযোগী তার স্ত্রী মোছাঃ সানজিদা আক্তার’কে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বোনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভিকটিম শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করার কথা স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।