সমাবেশ হতে সৈয়দ মোখলেসুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সুলতান জিশান উদ্দিন প্রধানকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য সদস্যরা হলেন মোঃ আবুল বাশার, কেসি মজুমদার, রাজু আহম্মদ খান, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, আহসান উদ্দিন শামীম।
সমাবেশে প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ ফারাক্কা লংমার্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী লংমার্চে যে ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন তা আজ সত্যে পরিনত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর দূরদর্শী চিন্তা দিয়ে ফারাক্কা বাঁধের সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি ১৯৭৬ সালে তাঁর জীবনের প্রায় শেষ লগ্নে এসে ফারাক্কা বাঁধকে মরণ ফাঁদ আখ্যায়িত করে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক ঘটনার সূচনা করেন। ফারক্কাকে তিনি বাংলাদেশের পরিবেশ ও কৃষির বিনাশকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। মওলানা ভাসানী দেশের শোষিত নিপীড়িত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন। মওলানা ভাসানী স্বপ্ন দেখতেন একটি শোষণহীন-বৈষম্যহীন ন্যায়ভিত্তিক সমাজের। মওলানার এ স্বপ্নকে বাস্তাবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে তাঁর উত্তরসুরীদের।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মোখলেসুর রহামান বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ন্যায়সঙ্গত’ মনে করতেন। তাই তিনি সম্প্রসারনবাদী ভারত কর্তৃক বারাক্কা বাঁধ অন্যায্য বিবেচনা করে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ফারক্কা লংমার্চ সংঘটিত করছিলেন। সভাপতি রহমান আরও বলেন, ভারতের কাছ হতে পানির ন্যায্য হিস্যা আমারা পাচ্ছি না। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান কৃষকের স্বার্থে ফারাক্কা সমস্যার অবিলম্বে সমাধান করবেন বলে। তিনি ভারতকে বন্ধুসুলভ আচরণ করারও আহ্বান জানান।