শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হত্যা মামলার ভয়ে ঘাট ছেরেছে মহারশি নদীর বালু মহালের ইজারাদারের লোকজন।
৫ আগষ্টের পর থেকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যে টেন্ডারের মাধ্যমে মহারশি নদীর বালু মহালটি ইজারা লাভ করেন শেরপুরের স্বপআসাদুজ্জামানন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু মহালটি ইজারা দেওয়া হয়। আসাদুজ্জামান স্বপনের নেতৃত্বে ৮ জনে মিলে বালু মহালটি ইজারা নেন। যথারীতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু মহালটি বুঝিয়েও দেওয়া হয়।
ইজারাদারের লোকজন মহারশি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় বিএনপি সমর্থীত নেতা কর্মিরা বালু মহালটি দখল করে নেন।
জানা যায়, প্রতিদিনের বালু বিক্রির রাজস্বের টাকা ইজারাদারকে না দিয়ে তারাই নিয়ে যান। পাশাপাশি বালু মহালের ইজারাদার আসাদুজ্জামান স্বপনকে তুলে নিয়ে মারধর করে এবং তাকে হুমকি দেয়া হয়, সে যদি বালু মহালে যান তাহলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্রহত্যা মামলার আসামি করা হবে।
এ ঘটনার পর থেকে আসাদুজ্জামান স্বপনসহ অন্যান্য শেয়ারদাররাও বালু মহালে আসা বন্ধ করে দেন।
ফারুক মিয়া নামে এক শেয়ারদার বালু মহালে এলে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রাংটিয়া বাজারে তাকে আটক করে বালু মহালে না যাওয়ার অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর চান। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে।
এ সময় ফারুক মিয়া নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশকে ফোন দিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে পুলিশ ফারুক মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবং থানা পুলিশ দুর্বৃত্তদের পক্ষ নিয়ে ফারুক মিয়ার কাছ থেকে বালু মহালে না যাওয়ার অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন পরিস্থিতি সামাল দিতেই তার কাছে স্বাক্ষর নিতে হয়েছে।
অপর দিকে বালু মহাল দখলের বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল হস্তক্ষেপ করেন।
তিনি বলেন বালু মহালের ইজারাদার ও তার লোকজন বালু উত্তোলন করবেন। এতে কেউ বিরোধিতা করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি তিনি মীমাংসাও করে দেন বলেও জানান।
কিন্তু ইজারাদারের লোকজন কাউকেই বালু মহালে দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোয়াশা কাটেনি। তবে এ বিষয়ে ইজারাদার আসাদুজ্জামান স্বপনসহ অন্যান্য শেয়ারদাররা ও মুখ খুলতে রাজি হননি।
তারা শুধু এইটুকুই বলছেন বালু উত্তোলন চলছে তারা কোন টাকা পাচ্ছেন না । ধারণা করা হচ্ছে হত্যা মামলার ভয়ে বালু মহালে আসছেন না তারা। মুখ ও খুলছেন না।
Tags: হত্যা