নিজস্ব প্রতিবেদক:
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত সচিব কর্তৃক হেনস্তা, নির্যাতন, নিগ্রহ ও নথি চুরির মামলার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। বৃহস্পতিবার (২০ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, সরকারের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য বা ফাইল নথি কোনও একান্ত সচিবের টেবিলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে না, থাকতে পারে না। আর যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সত্য হিসাবে ধরেই নেই তাহলে এটাই প্রমান হয় যে, মন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অযোগ্য ও ব্যর্থ। আর মন্ত্রী সেই সকল অযোগ্য-ব্যর্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করে প্রকারান্তরে দেশে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী-আমলাদের যে অশুভ আঁতাত গড়ে উঠেছে তার পক্ষেই কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, মন্ত্রীর জানা থাকা উচিত স্বাস্থ্য অধিদফতর এদেশের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সকল অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও মহা দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। টপ টু বটম সবাই দুর্নীতির সিস্টেমে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় যে চরম ব্যর্থ সেটা দেশবাসী করোনা দুর্যোগময় সময়ে একাধিকবার প্রত্যক্ষ করেছে। আর আর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া জনস্বার্থে যেকোনো মন্ত্রণালয়ের যেকোনো তথ্য-উপাত্ত জনগণের জানার ও প্রকাশ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তারা আরো বলেন, দেশের জনগন ভালো করেই জানে এই করোনাকালে সরকারি অর্থ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কী পরিমাণ দুর্নীতি আর লুটপাট হয়েছে। আর সাহসী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সেই সত্যকে তার কলমের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। যাতে করে সরকারও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। আর এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লেখার কারণেই তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আক্রোশের শিকারে পরিণত হতে হয়েছে এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট। নেতৃদ্বয় যে সকল আমলা-কর্মচারীরা রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ-জাতি ও সরকার উপকৃত হবে। তারা রোজিনা ইসলামকে হয়রানিতে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কল্পিত অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।