শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুরা গ্রামের সাকিব মাদবরের স্ত্রী রিয়া আক্তার রহস্যেজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
নিখোঁজ রিয়ার পারিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত দুই বছর আগে সদর উপজেলার পৌরসভার সাত নং ওয়ার্ড ধানুকা গ্রামের লিটন হাওলাদারের মেয়ে রিয়া আক্তার ও চিকন্দী ইউনিয়নের আবু তাহের মাদবরের ছেলে সাকিব মাদবরের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই গৃহবধূ রিয়ার জীবনে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরসহ পরিবারের সকলের খারাপ ব্যাবহার আর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ আগষ্ট শনিবার সকালে রিয়াকে তার শ্বশুর আবু তাহের মাদবর মারধর করে, এ সময় রিয়া তার মা-বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানায়।
এরপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় রিয়া আক্তার।
বাড়ির কারো ফোন রিসিভ না করার কারণে রিয়ার বাবা ও মা দুপুরের পর মেয়ের শ্বশুর বাড়ি যায় সেখানে তার মেয়ে রিয়াকে না পেয়ে রিয়ার শ্বশুর আবু তাহেরকে জিজ্ঞেস করলে রিয়া কোথায় আছে জানাতে না পেরে রিয়ার শ্বশুর উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাদের গালিগালাজ করেন ও হুমকি ধমকি দেয় এমনকি গায়ে হাত তোলেন।
সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে পাগল প্রায় মা জানান, কয়েকমাস আগেও মারধর করে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে সাকিব মাদবর। রিয়ার মা আরো জানান রিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এ ঘটনায় নিখোঁজ রিয়া আক্তারের বাবা লিটন হাওলাদার বাদী হয়ে ১৫ আগষ্ট সন্ধায় রিয়ার স্বামী সাকিব মাদবর, আবু তাহের মাদবরসহ ৪ জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পালং মডেল থানা পুলিশ ও চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির চৌখস পুলিশ সদস্যেদের কারণে রাতেই রিয়ার স্বামী সাকিব মাদবরকে আটক করা সম্ভব হয়।
এঘটনায় পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং একজন আসামী গ্রেপ্তার করতে পেরেছি, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।