আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৭নং ইদিলপুর ইউনিয়নের গোবিন্দরায় দেবত্তোর গ্রামের যুবক ১ সন্তানের জনক হাবিবুর রহমান হাবিব (২৬) লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। হাবিব টাঙ্গাইল নাহিদ কটন মিলের রিং ডপার শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছিলো। তার স্ত্রীও একই মিলে নারী পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবন জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা এলাকায় বসবাস করে জীবন অতিবাহিত করে আসছিলো। সংসার জীবনে তাদের কোল আলোকিত করে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে শিশু পুত্রের বয়স এখন মাত্র ৩ বছর প্রায়।
এদিকে,ওই মিলের জনৈক এক বড় স্যারের সাথে হাবিবের সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও তর্ক বিতর্ক হয় বলে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা জানায়। আর আর এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে অপমানের প্রতিশোধ নিতে হাবিবকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। আর এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার রাত ১০টার পর কর্মস্থল থেকে নাহিদ কটন মিলের গেটের সামনে বের হওয়া মাত্রই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পরিচিত কয়েকজন হাবিবকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তার আত্ম চিৎকারে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হাবিবের স্ত্রী,পরিবার ও সহকর্মীদের দাবী এ পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের সাথে ওই বড় সাহেবের হাত আছে।
এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জাপুর থানা পুলিশ আটক ৩ জনকে আটক করেছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতর মা কাবাসি বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং ২৬, ধারা ৩০২/৩৪ পিসি, তাং ১৪/০২/২২)।
হাবিবের লাশ সাদুল্লাপুর উপজেলার গোবিন্দরায় দেবত্তোর গ্রামে সোমবার রাত ১১টার দিকে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান হাবিব ওই গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। আজ মঙ্গলবার সকালে নামাজে জানাজা শেখার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী হত্যার সাথ জড়িতদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন।