নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাভাবিক সময়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে। তবে গ্রাহকরা লেনদেনের সুযোগ পান বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ঈদের পর গত শুক্রবার থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর হয় সারা দেশে।
বিধি-নিষেধ বা লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখা নিয়ে সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, লকডাউনের সময় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল বা প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিতসংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহকদের সেবা দেবে খোলা থাকা অন্য শাখা। আর বন্ধ শাখায় দৃশ্যমান স্থানে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানাতে হবে কোন কোন শাখা খোলা।
অন্যদিকে সরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে। অন্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে। এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে।
লকডাউন চলাকালে যেসব ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময়ে গ্রাহকদের হিসাবে নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট বা পে অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা বা অনুদান বিতরণ চালু থাকবে।
একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা এবং একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং ওই সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেম বা ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেওয়া এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যক্রম চালু থাকবে।
এ ছাড়া কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।