।।রাকিবুল ইসলাম, রাজবাড়ী।।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের বহু আগে মিসরে, প্রাচীন গ্রিসেও পাঠাগারের অস্তিত্ব ছিল। ভারতে প্রাচীনকালে পন্ডিতদের ব্যক্তিগত পাঠাগার ছিল আধুনিককালে বিজ্ঞানের সহায়তায় উন্নত পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত পাঠাগারের মধ্যে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উল্লেখযোগ্য।
জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।যে এলাকায় ভালো স্টেডিয়াম থাকে; সেই এলাকায় ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈইরী হয়।যে এলাকায় পাঠাগার থাকে; সে এলাকায় জ্ঞানি গুণী তৈরী হয়।
আজ (২৫ মার্চ) শুক্রবার বিকেল ৪ টার সময় রামকান্তপুরে উদ্বোধন করা হয় রাবেয়া-কাদের স্মৃতি পাঠাগার।পাঠাগার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.জোবাইদা নাসরীন।
এসময় উদ্বোধন কালে ড.জোবাইদা নাসরীন বলেন, ছোটোবেলায় আমার মা আমাকে পাব্লিক লাইব্রেরিতে নিয়ে যেতেন।সেখান থেকেই বইয়ের প্রতি আমার অনুরাগ।পাঠাগার মানে শুধু একটি ছোট্ট ঘর নয়।পাঠাগার মানে শেলফে থাকা কিছু বই নয়।পাঠাগার মানে এক মস্ত দুনিয়া।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, রাবেয়া-কাদের পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো: নজরুল ইসলাম যা করলেন তার মর্ম একদিন আপনারা বুঝবেন।বর্তমান সময়ে কম্বল বিতরণ করলে মানুষের অভাব হয় না।কিন্তু পাঠাগার খুললে পাঠক খুঁজে পাওয়া যায় না। এই স্মার্টফোনের যুগে।
এটা তথ্যের যুগ যার কাছে যত তথ্য আছে,সে তত সমৃদ্ধ।আর সেই তথ্য আমরা পেতে পারি বইয়ের মধ্য থেকে।
এবিষয়ে পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা মো: নজরুল ইসলাম রাবেয়া-কাদের ফাউন্ডেশন থেকে। তিনি কবিতা আবৃত্তি,বৃত্তি প্রদান,সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে শেষ করা হয়।