সূত্র মতে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরাতন ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিধিমোতাবেক বর্তমান অধ্যক্ষের চাকুরির মেয়াদ ৩০/০৩/২০২২ ইং শেষ হবে। বিধিমোতাবেক কলেজটিতে এডহক কমিটি চলমান রয়েছে। পরিচালনা পরিষদেও বর্তমান সভাপতির উদার ও সরলতার সুযোগে পরিচালনা পরিষদের সভায় বর্তমান অধ্যক্ষ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে অধ্যক্ষের চাকুরি বর্ধিত করনে শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কোন আপত্তি নাই। কিন্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন যাহা সম্পূর্ন অনৈতিক। উল্লেখ্য যে, পূর্বে বারবার নিয়মিত পরিচালনা পরিষদের সভায় অধ্যক্ষের চাকুরির মেয়াদ বর্ধিত করনের আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
জানা যায়, ইতিপূর্বে কলেজ প্রশাসন শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে এমপিও সারেন্ডারের এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সে সময়ে গুটি কয়েক শিক্ষক/কর্মচারীর মতবিরোধে সেটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এবং মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট স্থগিতাদেশ দিলে অদ্য পর্যন্ত এমপিও বহাল আছে এবং সেই সাথে আদালতে মামলা চলমান আছে।
জানা যায়, গত ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পেশিশক্তির জোর দেখিয়ে অধ্যক্ষের চাকুরি মেয়াদ বর্ধিতকরনের সম্মতি আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা সম্পূর্ন অনৈতিক ও অপরাধ।
অন্যদিকে নামসর্বস্ব কোম্পানী ‘সারা রিয়েল এস্টেট’-এর সাথে কেরানীগঞ্জে জমি কেনার চুক্তি করলেও জমির টাকা কৃষকদর নগদে পরিশোধ করা হয়েছে। যদিও চুক্তি নামায় উল্লেখ ছিল চেক/পে-অর্ডারে মূল্য পরিশোধ করার। বিশস্ত সূত্রে জানা যায়, জমির প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য দেখিয়ে চুক্তিবদ্ধ হন সারা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর সাথে। এতে করে কয়েক কোটি টাকা লোপাট করেছে দুর্নীতিগ্রস্থ অধ্যক্ষ সহ তাঁর সিন্ডিকেট। বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের নিরীক্ষা রিপোর্টে তা পরিস্কারভাবে উঠে এসেছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজে হওয়ায় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের বেশী নম্বর দেয়ার শর্তে ব্যবহারিক পরীক্ষায় নগদ ৫ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন। যাহা পরবর্তীতে ভাগ বাটোয়ারা করতে প্রকাশ পায়। তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পরিষদ বিষয়টির সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে একটি তদন্ত কমিটি করেন। এবং পরবর্তীতে পরিচালনা পরিষদ এই ব্যাপারে সত্যতা প্রকাশ পাওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রভাবশালী দূর্নীতিগ্রস্থ অধ্যক্ষ তাঁর সিন্ডিকেট নিয়ে পরিচালনা পরিষদের তৎকালীন সভাপতির সাথে একটি বিরোধ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষের প্রভাবে সভাপতি কলেজ থেকে বিতাড়িত হন বলে জানা যায়। দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের এহেন আচরনে পরবতীর্তে কোন পরিচালনা পরিষদ এই
ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে সাহস দেখাননি বরং বিভিন্ন কৌশলে দূর্নিতির বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আসছেন। বর্তমানে আবার অধ্যক্ষ তাঁর সিন্ডিকেট নিয়ে চাকরীর মেয়াদ বাড়ানোর বিভিন্নকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন।
সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এসব মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার কাছে কাগজপত্র আছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের প্রতিনিধি জাকির হোসেন ভুইয়া গভর্নিং বডির পরিষদের চেয়্যারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এদিকে চেয়্যারম্যানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।