নেতৃবৃন্দ বলেন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যার মূল চালিকাশক্তি দেশের শ্রমজীবি মানুষ। দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বহুমাত্রিক শ্রমশক্তির উচ্চ দক্ষতা, উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন হলেও ন্যায্য পারিশ্রমিকসহ শোভন কাজের সুফলগুলো নিশ্চিত হয়ে ওঠেনি। শ্রমিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ, সমান আচরণ ও সুযোগ, শ্রম অধিকার এবং ন্যায্য বেতন প্রদান করা হয়, তখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মর্যাদা সমুন্নত থাকে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ আত্মত্যাগ করেছে রক্ত দিয়েছে একটি নিপীড়ন ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভূত্থানে অর্জিত স্বাধীনতা শ্রমিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক কর্মপরিবেশ, ন্যায্য মজুরির আকাঙ্খা তৈরি করেছে। বিশ্ব কর্ম দিবসে শ্রমিকদের স্বার্থে নি¤েœাক্ত দাবী সমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।
(১) শোভন কাজ, সামাজিক ন্যায় বিচার, কর্মস্থল ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত- মজুরী বৈষম্য দূর কর ।
(২) ক্ষুধামুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কর ।
(৩) লিঙ্গ‣বষম্য দূর কর- নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।
(৪) জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন কর।
(৫) ট্রেড অধিকার নিশ্চিত কর।
(৬) আইএলও কনভেনশন-৮৭ ও ৯৮ বাস্তবায়ন কর।
(৭) আইএলও কনভেনশন-১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর কর।
(৮) সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত কর।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী তোপখানা রোড প্রদক্ষিন করে।