নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আজ ২২ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৩ টায় ২২/১, তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের ২য় তলার কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ যুব শক্তির উদ্যোগে জনগণের ভোট প্রয়োগের অধিকার ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নাকি আইন প্রণয়ন কি ভাবছে যুব সমাজ? শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় যুব শক্তির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দলের যুব প্রতিনিধিরা সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে যে আইনের কথা বলা আছে সে আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান।
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। গণআন্দোলন—গণপ্রতিরোধের পথে সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে পরাজিত করতে না পারলে ভোটের অধিকার , গণতান্ত্রিক অধিকার ও অবাধ নির্বাচন কিছুই করা যাবে না। সার্ব কমিটি বা এডহক ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন সুযোগ নেই। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কোন অবকাশ নেই।”
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করে আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান।
যুবশক্তির প্রধান সমন্বয়ক হানিফ বাংলাদেশী বলেন, “দেশের ৫৩ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। আমরাও চাই গত ৫০ বছর যাবত নির্বাচন কমিশন গঠনের কোন আইন করা হয়নি এখন রাষ্ট্রপতি সর্বমহলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।”
তিনি বলেন, “কার্যকর গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে হলে শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন লাগবে এবং প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে। প্রশাসন দলীয়করণ করলে কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়, কমিশন গঠিত হতে হবে সংবিধানে ঘোষিত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে।”
জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে আরও আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আলম চৌধুরী, মীর মোজাম্মেল হোসেন মিলন, নয়ন আহম্মেদ, যুব ইউনিয়নের সেক্রেটারী আসাদুজামান মাসুদ, যুব গণফোরামের সেক্রেটারী ইসমাইল সম্রাট, ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি ফারুক হাসান, সৌরভ, এন ইউ আহমেদ, মোঃ শিহাব উদ্দিন, এন ইউ আহমদ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে যুব শক্তি নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করে। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক হানিফ বাংলাদেশী ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন এবং কার্যকর গণতন্ত্রের দাবিতে দেশব্যাপী প্রতীকী গণভোট সংগ্রহ করবেন এবং ৬৪ জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে স্বারকলিপি প্রদান করবেন। আজকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কমরেড সাইফুল হক, আগামী ২৪ তারিখ টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু হবে, ২৫ তারিখ কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে, ক্রমান্বয়ে ৬৪ জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি শেষে জানুয়ারী মাসে কর্মসূচি সমাপ্ত করবেন তিনি।