নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির প্রধান কার্যালয় সম্মূখে সমাবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল (২৮ অক্টোবর) শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ এলাকায় অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ শুরু করে বিএনপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের রাস্তায় নেতাকর্মীদের লাঠি হাতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সদস্যসচিব রুনা লায়লা।
এদিকে আজকের সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ হরতালের তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকও হরতালের সিদ্ধান্তের তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা আগে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ হয়।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নয়াপল্টনে শুরু হয় গান-বাজনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এই গান পরিবেশন করা হয়।
নয়াপল্টনের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মুক্তি চেয়ে পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয় এসব পোস্টার ও ব্যানারে।