নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় বোরো ধানের দাম মণপ্রতি ১৫০০ টাকা নির্ধারণ ও প্রতি ইউনিয়নে সরকারী ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকের নিকট থেকে সরাসরি কমপক্ষে ৭০ লক্ষ টন ধান সরকারিভাবে ক্রয় করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। সোমবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া সরকারের নিকট এই দাবী জানান। তারা বলেন, দেশের হাওর অঞ্চলগুলোতে বোরো ধান কাটা শুরু হলেও সরকার এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে ধান ক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করেনি যা দু:খজনক। ধানের মূল্য নির্ধারণ না করলে কৃষকরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হয়, যার ফলশ্রুতিতে তাদের কৃষি কাজে টিকে থাখা দুরহ হয়ে পড়বে। ধানের উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করলে ধানের মূল্য ১,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিবছরই দেখা যায় সরকার কৃষকদের নিকট থেকে যে মূল্যে ধান ক্রয়ের ঘোষণা দিয়ে থাকে সে মূল্য কৃষকরা পায় না দূর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় ফরিায়াদের যোগসাজশের কারনে। ফলে সরকারের উচিত হবে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা। কোন টাউন দালাল বা ফরিয়ারা যাতে করে কৃষকদের প্রতারিত করতে না পারে। তাই সরকার শুধু ধানের মূল্য নির্ধারন করলেই হবে না কৃষকরা যাতে মূল্যে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারে তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। তারা বলেন, গত বছরও সরকার ধানের দাম ১০৪০ টাকা মণ নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু তখনও খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে ধান বিক্রি হচ্ছিল, ফলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছিল। অন্যদিকে সরকার ধান কম ক্রয় করে আর চাল বেশী ক্রয় করে, য়ার ফলে চাতাল মালিকরা লাভবান হলেও কৃষক লাভবান হতে পারে না। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশে সরকারি মজুদ গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেছে। তাই এবছর কমপক্ষে ৭০ লক্ষ টন ধান সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করা উচিত। তা নাহলে ব্যবসায়ীরা বাজার সিন্ডিকেট কারসাজির মাধ্যমে সঙ্কট সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে। এবছর সরকারের নিকট চাল মজুদ আছে মাত্র ৩ লক্ষ টন যেটা গতবছর ছিলো ১২ লাখ টন। কমপক্ষে ২০ লাখ টন খাদ্য মজুদ থাকা প্রয়োজন, তা না হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারা ফরিয়াদের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি কৃষকদের নিকট থাকে ধান কেনার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।