অনলাইন ডেস্ক।।
দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। ঘিয়ে রংয়ের টাঙ্গাইল শাড়ি পরিহিত শেখ হাসিনার দু’চোখ বেয়ে অঝোরে পানি নামে। কান্না লুকাতে কিছু সময়ের জন্য বিস্তীর্ণ খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। কান্না লুকাতে পারলেন না। শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকেন। চোখের পানি মোছেন। পানিতে ঝাপসা হয়ে থাকা চোখের চশমা খুলে হাতে নেন।
সুধা সদনে সমবেত সবাই তখন তন্ময় হয়ে তাকিয়ে প্রাণের নেত্রীর দিকে। ওই সময় চারদিকে পিনপতন নীরবতা নামলো। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা। অপেক্ষমাণ সবাইকে অশ্রু চোখে হাসিমুখে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানালেন। এ যেন এক অন্য শেখ হাসিনা, যেন তখন বাঙালি নারীর মূর্তমান প্রতিকৃতি। হাজার হাজার মানুষ দু’হাত উঁচিয়ে স্লোগানে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ একাগ্রতা জানালো। এমনই ছিল সেই ১১ জুন। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের আজকের দিনে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে দেশীয়, আর্ন্তজাতিক যড়ষন্ত্র ব্যর্থ করে মুক্ত হয়ে এসেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
হে বঙ্গবন্ধু কন্যা তোমার মুক্তি মানেই সত্যের বিজয় কেতন। তুমি এসেছিলে বলে আমরা স্বপ্ন দেখি l তুমি হেনরী কিসিনজারের তলাবিহীন ঝুড়ির মতো ষড়যন্ত্র মূলক অপবাদ মিথ্যা প্রমান করে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্বের পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছো l দেশ আজ খাদ্যোৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ।
সারাদেশ শতভাগ বিদ্যুৎয়ায়িত মেট্রোরেল উড়াল সড়কসহ পদ্মাসেতুর মত স্বপ্নের সেতু নির্মিত হলো। আজ তুমি গণতন্ত্রের মানসকন্যা থেকে উন্নয়ন কন্যা’য় ভূষিত। তোমার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির সার্থকতা প্রমাণিত হলো।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু শেখ।
[হায়াতুজ্জামান-সাবেক আহবায়ক কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ ও লেখক-কলামিস্ট]