নিজস্ব প্রতিবেদক◊
যে দেশে যত বেশি তথ্যের অবাধ প্রকাশ নিশ্চিত করা যায়, সে দেশে তত বেশি মানবাধিকার সুরক্ষা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের দেশে তথ্য অধিকার আইনের মতো জনমুখী আইনকে অর্থহীন করে দিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালাকানুনগুলো জারি করা হয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ অভিমত প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মতো আইনের মাধ্যমে দেশে ঔপনিবেশিক কালের গোপনীয়তার সংস্কৃতি এখনো সরকারের মধ্যে আছে। তথ্য অধিকার আইনের কারণে এ আইন বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল।
নেতৃদ্বয় বলেন, তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে নাগরিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকারের তাত্ত্বিক স্বীকৃতি অর্জিত হলেও আইনটির স্পিরিট বা মূল চেতনা আন্তরিক উপলব্ধিতে আসেনি। সে কারণেই তথ্য অধিকার আইন বাস্তব ক্ষেত্রে সব নাগরিকের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না। তথ্য কমিশনও এই ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হচ্ছে না।
তারা বলেন, তথ্য অধিকার আইনের মূল উদ্দেশ্য নাগরিকদের ক্ষমতায়ন ঘটানো, সরকারের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, দুর্নীতি প্রতিহত করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাটি যাতে জনগণের স্বার্থে কাজ করে, তা নিশ্চিত করা। এই সবকিছুর জন্য প্রয়োজন সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুকূল মানসিকতা।