নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, স্বাধীনতা ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ভাষা সৈনিক, গবেষক, লেখক, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখ দুপুর ২ঃ৩০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
আজ ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ দুপুর ২ টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে রাখা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন তিনি ছিলেন নজরুল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক তিনি এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন। তিনি ছিলেন ভাষাবিজ্ঞানী, লেখক, ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী একজন অসীম সাহসী ভাষাসৈনিক! ভাষা আন্দোলনের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে বাঙালি জাতি একজন গুনী অভিভাবককে হারালো! এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। বাঙালি জাতি তাঁর এই শ্রেষ্ঠ সন্তান কে চিরদিন বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ রাখবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেন বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেইসব ইতিহাস তার লেখায় বিভিন্ন গ্রন্থে প্রকাশ করেছেন পরম মমতায়! শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই তিনি লিখেছেন। তিনি এক সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করেন। এই বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় তাকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, অভিভাবক! তাঁর মৃত্যু জাতির জন্য অপূরনীয় ক্ষতি! এই শূন্যতা কোন ভাবে পূরণ হওয়ার নয়! তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি নির্মল চ্যাটার্জী, আব্দুল আলিম বেপারী, শামীম শাহরিয়ার, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা প্রমূখ।