অনলাইন ডেস্ক:
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফরকালে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বজায় ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়, সশস্ত্র বাহিনী পর্যায়ে নিয়মিত মতবিনিময় অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করার পাশাপাশি কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় চীনের সহযোগিতার বিষয়ে ধন্যবাদ প্রদান করেন। আলোচনাকালে সেনাপ্রধান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সদা বদ্ধপরিকর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনপূর্বক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্কের গভীরতা ও ব্যাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে আরো উচ্চতর স্তরে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ অর্জনে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্বারোপ করেন। চলমান কভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে চীনের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহায়তার প্রস্তাব করেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। তিনি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবর্তন কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন এবং এ ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহির নেতৃত্বে চীনা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদলটি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ঢাকা সেনানিবাসস্থ শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেনা সদরে সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি), চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও-এএফডি), সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্সসহ (এমজিও) অন্য জেনারেলরা উপস্থিত ছিলেন। সফর শেষে প্রতিনিধিদলটি ২৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখ বাংলাদেশ ত্যাগ করে বলে জানানো হয় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরদিপ্তরের (আইএসপিআর) বিজ্ঞপ্তিতে।