আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ দেশ এবং জাতির কল্যাণ কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা সমাপ্ত হয়েছে। গত (১৬ ফেব্রয়ারি) বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার সূচনা করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জে রংপুর চিনিকলের ইক্ষু খামার এলাকায় এ বছর এই জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) শনিবার লাখো লাখো মুসল্লির অংশ গ্রহনে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা সমাপ্ত করা হয়েছে। ইজতেমা শেষে মুসল্লীরা নিজ নিজ গন্তব্যে ও তাবলীক জামাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে ইজতেমার প্রধান বয়ানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফ আলী ইজতেমা শুরুর আগ মুহুর্তে রাত আড়াইটার দিকে ইজতেমা মাঠেই শাহাদত বরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন)।
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জেলার আঞ্চলিক ইজতেমার তিনি ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। ৭২ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফ আলী নরসিংদী জেলার বাসিন্দা। তিনি রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইজতেমা কমিটির অন্যতম প্রধান হুজুর ছিলেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট ইজতেমা কর্তৃপক্ষ । ইজতেমা মাঠে তার স্বজনরা পৌঁছার পর বৃহস্পতিবার বাদ আসর রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান শেষে ইজতেমা মাঠেই তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। শনিবার আখেরী মোনাজাতে শাহাদত বরণকারী ইজতেমা প্রধান বয়ানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফ আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
ইজতেমায় গাইবান্ধা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগে থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এসে উপস্থিত হন। শ্রীলংকা, ভারত,মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশী মুসল্লীরাও ইজতেমাস্থলে এসে অংশ নেন। ইজতেমায় দেশ বিদেশের প্রায় ৩ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীর সমাগম হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জেলা পুলিশ ও প্রশাসেনর কর্মকর্তারা।