আরিফুল ইসলাম জিমন,ঘোড়াঘাট◊◊
খাঁটি বলে দেওয়া হয় ভেজাল মধু। দীর্ঘ ১৭ বছর থেকে চিনি ও ফিটকিরি সাথে পানি মিশিয়ে মধু তৈরি করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে খাঁটি মধুর কথা বলে বিক্রি করে আসছে কিছু অসাধু মধু বিক্রেতা।
সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১নং ইউনিয়নের কলাবাড়ী মৌজার সাউদগাড়ী পাড়ার হবিবর রহমান মধু (৪৫), একই গ্রামের মৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০), মোফাজ্জলের পুত্র বারেক (৫০), বারেকের পুত্র শাকিল (২৮) এবং ৩নং সিংড়া ইউনিয়নে নূরপুরের আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৪২)। এদের মধ্যে হবিবর রহমান নকল মধু তৈরি ও বিক্রির মূল হোতা বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, কি খাচ্ছি আমরা, ফিটকিরি না মধু? দীর্ঘদিন থেকে (প্রায় ১৭ বছর) এই ৫ জন নকল মধু তৈরি করে সাইকেল ও মটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মধু বিক্রি করে থাকে। তারা এ ব্যবসা করেই গাড়ি-বাড়ি, জমিজমাসহ অনেক কিছু করেছে।
নকল মধু তৈরির বিষয়ে অসাধু মধু বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মাস্তান মধু স্বীকার করেন যে তারা দীর্ঘদিন থেকে এ ব্যবসা করে আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডাঃ মোহাম্মাদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, চিনি ও ফিটকিরি দিয়ে মধু তৈরি করে মানুষকে খাওয়ালে এতে বিষক্রিয়া সহ এসিড ও মারাত্মক ভাবে কিডনির ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে ইউএনও মহদয়ের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে অতিসত্বর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।