কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কেরানীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহিদুল্লা (৬২) আর নেই(ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন),গতকাল ১১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত ৯ টায় বিজয়ের মাসে পরিজনদের ছেড়ে সবাইকে কাঁদিয়ে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার শেষে সোনাকান্দা মাদ্রাসায় এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। শহীদুল্লাহ্ কেরানীগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের পন্ডিত, সাইজুদ্দিন আহাম্মেদের সন্তান। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজন,সহপাঠীরা একনজর দেখতে চলে আসেন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হুদা মাস্টার জানান, তিনি আসামের লায়লাপুর ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ শেষে ২ নাম্বার সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশের আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টুর অধীনে ২৬ নভেম্বর সৈয়দপুর-সোনাকান্দা যুদ্ধসহ একাধিক সম্মুখ যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন।
দুঃসময়ের এই আওয়ামী লীগ নেতা শেষ দিকে এসে অযত্নে চিকিৎসা ছাড়া মারা গেলেন। কোন নেতাকর্মী তার খোঁজ-খবর রাখেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। তার একমাত্র মেয়ে শশি বলেন, আমার বাবা আওয়ামীলীগের ক্ষমতা ও বঙ্গবন্ধুর বিচার চেয়ে সময় মত বিয়েটাও করেনি।
এলাকায় যখন নৌকার পক্ষে কোন লোক ছিলো না, আমার বাবা ছিলেন নির্বিক আওয়ামীলীগর কর্মী । কিন্তু দলের সু-সময়ে আমার পিতা ছিলো অবহেলিত। আশাকরি বিজয়ের মাসে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের দিকে খোঁজ খবর নিবেন ।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা কমান্ডার হাজী শাহজাহান,তার জানাজায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। মোঃ এরশাদ হোসেন