নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশ-জাতি ও প্রজন্মের স্বার্থেই কীর্তিমানদের স্মরণকরা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার ছিলেন জাতির কীর্তিমান সন্তান। দেশ-রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে যার যতটুকু অবদান তাকে ততটুকু স্বীকৃতি প্রদান না করলে ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট হয়। যা একটি জাতির জন্য শুভ নয়। দু:খজনক হলেও সত্য আজ কেউ স্মরণ রাকে নাই তাকে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জনতা ফোরাম আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য রাজনৈতিক দলগুলোই নিজেরাই নিজেদের ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করছে। যাতে করে আজকের ও আগামী প্রজন্ম অনেক তথ্য থেকে বহ্ছিত হচ্ছে। বিচারপতি আবদুস সাত্তারের কথা আজ তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলই স্মরণ করেন না। তারাই তাকে মুছে দিয়েছে ইতিহাস থেকে। যা অত্যন্ত অন্যায়।
তিনি আরো বলেন, রাজনিতিতে অব্যাহত তোষামদ পক্রিয়ার কারণেই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিষ্ঠাতাদের স্মরণ করতে চায় না। তারা অতিতের সকল নেতাদের অবদান মুছে ফেলে সকল কৃতিত্ব বর্তমান নেতৃত্বকে দিতে ব্যস্থ থাকে। ফলে তারাও এক সময় ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবে। এটাই ইতিহাসের নির্মম প্রতিশোধ।
জাতীয় জনতা ফোরাম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক ও কলামিস্ট এহসানুল হক জসীম, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, খাসখবর সম্পাদক মারুফ সরকার, নারী নেত্রী মিস চম্পা প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এহসানুল হক জসীম বলেন, বিারপতি আবদুস সাত্তার ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তিত্ব। ১৯৭০ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে তার নিরপেক্ষতা ও পেশাদারী ভূমিকার কারণেই সেই নির্বচনটি ঐতিহাসিক ও নিরপেক্ষ হিসাবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়েছিল।
মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, দেশের রাজনীতির সঠিক ইতিহাস নির্মান প্রয়োজন। ভুল-ত্রুটির বাইরে জাতীয় নেতাদের কর্ম আজকের ও আগামী প্রজন্মের জানা উচিত যাতে করে তারা শিক্ষা লাভ করতে পারে। বিচারপতি আবদুস সাত্তারের জীবনীও জাতিকে জানানো উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার বলেন, বিচারপতি আবদুস সাত্তারের কর্মজীবন, সাফল্য ও দেশের প্রতি তার অবদান আলোচনা করা উচিত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তার রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরা দায়িত্ব। যাতে করে আজকের ও আগামী প্রজন্ম তার জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে।