নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মো: মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে দুর্নীতির অভিযোগ গড়ে উঠেছে। বিগত বছর ধরে মহাসড়কের উপর পরিবহণ ডাম্পিং করে অবৈধ ভাবে রমরমা ফুটপাতের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম মূখী কাঁচপুর মেইন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে হাইওয়ে থানা পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই লেনের একটি লেন বন্ধ করে পরিবহণ ডাম্পিং ব্যবস্থা করা হয়। এতে করে কাঁচপুর (শিল্প অঞ্চলের) গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা কিংবা সাধারণ পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে থাকেন। এধরনের দুর্ঘটনার স্বীকারের দায়ভার কে নিবে জনমনে ব্যাপক ভাবে প্রশ্ন গড়ে উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, অবৈধ ফুটপাতে কাচা টাকার ছড়্রাছড়ি, প্রতিনিয়ত ফুটের ব্যবসার হিসাব-নিকাশ চলছে হরদমে। পুলিশের নেতৃত্বে ফুট পরিচালনা কারী অভিযুক্ত চাঁদাবাজ মনির। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের ছত্রছায়ায় প্রতি ফুটে ১’শ টাকা হারে প্রতিনিয়ত চাঁদা উত্তালন করেন। অভিযুক্ত মনিরের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করাতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কোন প্রকার। এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন স্থানীয় এলাকার জনগণ।
আরও জানাগেছে, সাবেক ওসি মো: কাইয়ুম আলী সরদার যোগদান গত ২৬/৮/১৭ তারিখ থেকে ৯/১০/১৯ তারিখ পর্যন্ত একটানা দুই বছরের অধিক কর্মরত থেকে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। তাঁর দুর্নীতির সংবাদও একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি বদলী হয়ে এরিমধ্য মো: মোজাফ্ফর হোসেন ১৫/১০/১৯. যোগদানের পর থেকেই ১৩/৯/২০. তারিখে বদলী করে দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থানে বর্তমান কর্মরত ওসি মো: মনিরুজ্জামান ১৩/৯/২০. তারিখে যোগদান করার পরপরই এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ মাসের অধিক কর্মরত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নানা খাতে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা মানেই পুলিশের মিশনের একটি অংশ।
জানাগেছে, অবৈধ বাণিজ্য’র ধরণঃ অবৈধ ফুটপাত ব্যবসা,সড়কের পাশে থাকা মার্কেট,দোকানপাট,ইটভাটার মাটির ব্যাগফুট গাড়ি,কাঁচপুর-মেঘনার প্রতিটি স্ট্যান্ড থেকে মাশোহারা ,সিএনজি টোকেন, ইজিবাইক টোকেন,অটো রিক্সা টোকেন, ফিটনেসবীহিন ট্রাক-বাস পরিবহণ টোকেন, পুলিশের বসানো দোকানপাট, নাফ মিনিবাস পরিবহণ, দুরন্ত বাস পরিবহণ, অবৈধ ভাবে র্যাকার বাণিজ্য ও হাইওয়ে থানা পুলিশের ‘ব্যারাকের’ রান্নার কাজে নিয়জিত কাজের ‘’বুয়া’’ নামে পরিচিত তাঁর নিজেস্ব প্রায় ২১ অটো রিক্সা রয়েছে। ইত্যাদি আরো অনেক জায়গা থেকে উৎকোচ বাণিজ্য লুটিয়ে থাকেন ওসি মনির।
সূত্রমতে আরও জানাগেছে, সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) একাধিক গণমাধ্যমে রাস্তা আক্রিয়ে ফুটপাত ব্যবসার সংবাদ প্রকাশ করা হলে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি বিভিন্ন সাংবাদিক মহলে পরিত্রাণ পেতে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেন। এবং তাঁর কর্মস্থল টিকিয়ে রাখার জন্য অর্থ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নিজেকে সততার পরিচয় তুলে ধরেন তিনি। যা সাধারণ জনগণের কাছেও বিষয়টি হাঁস্যকর মনে হচ্ছে।
এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবহিত করা হলেও, এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আমলে নিচ্ছেনা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জায়েদুল আলম(পিপিএম)বার বলেন, আপনি বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন, আমি হাইওয়ে পুলিশের এসপি মহোদয়ের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান তিনি।