মো: সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল থেকে:
টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ। দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় সাধারণ মানুষের অপূরনীয় ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কর্মচাঞ্চল্যতা বেড়েছে । কৃষকের বীজ তলা ডুবে গেলেও থেমে নেই তারা নব উদ্যেমে নতুন বীজতলা তৈরী করছে । পুকুর ডুবে চাষের মাছ বেড়িয়ে গেছে ও বিভিন্ন ফসল ও শাক সবজি পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।জেলার নাগরপুর,দেলদুয়ার ভুয়াপুর ,গোপালপুর, সখিপুর ও বাসাইল সহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বন্যাকালীন সময়ে ভেঙ্গেছে কাঁচাপাকা রাস্তা,ব্রীজ কালভার্ট ফলে উপজেলা থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পরেছে। রাস্তায় অসংখ্য ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । কিছু কিছু রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। কোথাও কোথাও ব্রীজের গাইড লাইন ভেঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে চলাচল।
বন্যা পরবর্তী এ সময়ে দেখা দিয়েছে পানিবাহীত বিভিন্ন রোগব্যাধিও। মানুষের ভীর বেড়েছে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । একদিকে করোনা অপর দিকে বন্যা। সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। সাধারণ মানুষের উপর প্রাকৃতিক এসব দূর্যোগ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, বন্যাকালীন সময়ে বিভিন্ন কাঁচাপাকা রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে পরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা,ব্রীজ কালভার্টের তালিকা করা হচ্ছে। সেসব তালিকা যাচাই বাছাই পূর্বক খুব দ্রুত মেরামত বা নির্মাণ কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছে সওজ ও এলজিআরডি ।