নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৭০ কোটি টাকার কথিত ‘সাপের বিষসহ’ দুই ‘চোরাকারবারিকে’ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও দুজন পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে র্যাব। রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
রোববার রাতে এসব কথা জানায় র্যাব -১০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফতুল্লার ১/১ ইসদাইর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা কামাল (৫৫) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার প্রাগপুরের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান মধু (৪৩)।
রাতেই গ্রেপ্তারকৃতদের ফতুল্লা মডেল থানায় হাজির করে র্যাব। পরে র্যাবের নায়েব সুবেদার শেখ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে পলাতক দুজনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন মামলার বরাত দিয়ে জানান, রাজধানীর লালবাগ ক্যাম্পের র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তফা কামালের বাড়ি থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আবুল বাশার ও আসফাকুর রহমান ভুট্ট নামে আরো দুজন ওই বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুজনের কাছ থেকে একটি কার্টন উদ্ধার করে। ওই কার্টনের ভেতর থেকে ২টি কাচের জারে তরল ও ৪টি কাচের জারে পাউডার জাতীয় ‘সাপের বিষ’ উদ্ধার করে। এসবের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।
তথ্য মতে জানা যায়, এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৭ হাজার টাকা ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, র্যাব প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বিদেশ থেকে অবৈধভাবে সাপের বিষ এনে বিক্রি করেন। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমান মধুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে তথ্য মতে জানা যায় গ্রেপ্তারকৃত চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার প্রাগপুরের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান মধু (৪৩) অত্র এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করেন। এরমধ্যে অত্র এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মৃত্যু মুক্তার মন্ডলের ছেলে, আব্দুল হান্নানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লিপ্ত রয়েছেন তিনি। এ আন্তর্জাতিক চোরাকারবারের সদস্য মধু শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল হান্নানের সহযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। চুয়াডাঙ্গা প্রাগপুর গ্রামের মানুষের তথ্যমতে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল র্যাব-১০ হাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার প্রাগপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মধু গ্রেপ্তার হওয়ার পর আস্তে আস্তে তার সহযোগী হান্নানসহ বিভিন্ন অপরাধের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে।