মোঃ সেলিম সরদার,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
অসাধ্যকে সাধন করে নওগাঁ-৬ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও আত্রাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান প্রামানিক।আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান প্রামানিক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্রাই উপজেলা পরিষদের পরপর তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ২০১৯ সালের নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এর খেতাব প্রাপ্ত। এর আগেও পরপর দুই মেয়াদে ছিলেন আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান।
এ সব ছাপিয়ে তাকিয়ে যে বিষয়টি অসাধারণ করে তুলেছে তা হলো তার। সর্বদা দুঃখী মানুষের পাশে থাকা ও তাদের সেবা করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। ২০০৪ সালে আংশিক স্ট্রোক করার পর মহান আল্লাহর রহমতে ও জনগণের দোয়ায় সুস্থ হয়ে ফিরেন। এটি তাকে থামাতে পারেনি। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজও তিনি গরিব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থেকে তিনি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাথে তার সম্পর্কটা প্রায় ৫০ বছরের। আওয়ামী লীগ গঠনের পর,শুরু থেকেই তিনি এর সাথে সম্পৃক্ত হন ও ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ছাত্রলীগের হাত ধরে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু। ১৯৭৫ সালে আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সদস্য নির্বাচিত হন ও দল যখন বিপদ গ্রস্ত তখন অর্থিক সহযোগিতা সহ কর্মিদের তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করতে থেকেছেন সদা তৎপর। এরপর ১৯৯০ সালে আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন, সেই দায়িত্ব আজও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ২০১৪ সালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।
ব্যক্তি হিসেবে সদা হাস্যজ্জল মানুষটি অতিসাধারণ,প্রায় ২৬ বছর জনপ্রতিনিধিত্ব করার পরও আজও তিনি বসবাস করেন তাঁর পৈতৃক বাড়িতে জেটির ছাদে টিনের চাল শোভা পায় । নানা জনহিতকর কাজের জন্য বরাবরই প্রশংসিত তিনি। নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন আটটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি স্কুল এন্ড কলেজ এবং চারটি মাদ্রাসা। তার প্রতিষ্ঠিত শুটকিগাছা কেডি স্কুল এন্ড কলেজ ২০০০ সাল থেকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খেতাবপ্রাপ্ত। তারই উদ্যোগে ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর চক্ষুশিবির আয়োজিত হয় যেখানে হত দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপন এর মত সেবা পেয়ে থাকেন। এসব তিনি করেছেন সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে,শুধুমাত্র নিজ এলাকার গরিব অসহায় মানুষের সুচিকিৎসার কথা চিন্তা করে। সবুজ বাংলাদেশ গড়তে তিনি প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষের চারা সরবরাহ ও বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করে থাকেন যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংলা গঠনের প্রত্যয়কে বাস্তব রূপ দিচ্ছে।
নিজ কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে জনাব এবাদুর রহমান প্রামানিক বলেন,”আমি সর্বদা হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছি ও তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করি যখন ২০০৪ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বিএনপি,জেএমবি ও সর্বহারা কর্তৃক নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয় ও দীর্ঘ সময় ঢাকার পিজি হাসপাতালে কাটানোর পর সুস্থ হয়ে ফিরে আসি। কিন্তু ২০০৯ সালে সবকিছু বদলে যায়। তখনকার নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন সকল বাধা অতিক্রম করার সাহস যুগিয়েছে। সেই নির্বাচনে প্রায় আটচল্লিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করি। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি কিন্তু সবচেয়ে বড় পাওয়া বোধহয় মানুষের ভালোবাসা। কিন্তু আমি এখানেই থামতে চাই না। আমি আমার এলাকার মানুষের হয়ে মহান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমি সেই কৃষক,শ্রমিক,জেলে,মাঝি,
দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতিনিধি হতে চাই যারা প্রকৃত অর্থে এ দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। আমি তাদের হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।আমি জাতীয় সংসদে তাদের তুলে ধরতে চাই,তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আমার জনগণের হয়ে কাজ করতে চাই। দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সেই সুযোগ দেবে বলে আমার ও আমার জনগণের বিশ্বাস। আমি বিশ্বাস করি সততা আর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা সম্ভব” ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা সকলেই আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমানকে সৎ মানুষ হিসেবে জানেন। উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারের শফিকুর রহমান বলেন,”তিনি সৎ হিসেবে সকলের কাছে সম্মানিত।
তিনি যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন তেমনি গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাচ্ছেন। আত্রাই হতে তাকেই এমপি হিসাবে দেখতে চাই।
জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজ এলাকায় এরইমধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন,ভবিষ্যতে হয়তো বা পুরো বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।