হাসান মাহমুদ পারভেজ, আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আগরতলা-আখাউড়া ও আখাউড়া-লাকসামের মধ্যে ডয়েল গেজ রেললাইন প্রকল্পের কাজের পরিদর্শন করেন রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগড় রেলওয়ে স্টেশনে লাকসাম-আখাউড়া-আগরতলা রেল লাইন কাজের পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, আখাউড়া -আগরতলা রেল লাইন প্রকল্পের কাজের ৫০ ভাগ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আখাউড়া -আগরতলা অংশের রেলপ্রকল্পের কাজ আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শেষ হবে ও আখাউড়-আগরতলা- লাকসাম ডয়েল গেজের রেল লাইনের প্রকল্পের কাজ আগামী ২২ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। মন্ত্রী এই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপ্রকল্পের কাজের অর্থায়ন পুরোটাই ভারত সরকার বহন করতেছে। এর সাথে স্টেশন বিল্ডিং, কাস্টমস বিল্ডিং সহ যাবতীয় স্থাপনা আমাদের অর্থায়নে করে দিচ্ছি।
এই সময় মন্ত্রী আরো বলেন ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা রেলপথ মন্ত্রনালয় করে রেল ব্যবস্থাকে আধুনিক,যুগোপযোগী ও মানসম্মত করেছে।অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছে।এ মাসের মধ্যেই রেলের লোকবল সমস্যার সমাধান করা হবে।ভারতের মতো বাংলাদেশের মিটারগেজ রেলপথকে ব্রডগেজে রুপান্তর করা হবে।ফলে ধীরে ধীরে মিটারগেজ ট্রেনের সংখ্যা কমতে থাকবে।রেলমন্ত্রী আরো বলেন,আখাউড়া-আগরতলা রেলপ্রকল্প বাস্তাবায়নের ফলে ব্যবসাবাণিজ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উভয়দেশের মধ্যে আমদানী ও রপ্তানী বাড়বে।ফলে আখাউড়া তথা পুরো দেশের মানুষ সুফল ভোগ করবে।
মুক্তিযুদ্ধের পরে এদেশের রেলব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে ছিল।৭৩ ও ৭৪ সালে রেলের লোকবল ছিল ৬৮ হাজার। এখন বর্তমানে তা ২৫ হাজারে নেমে এসেছে।যার ফলে এখন ১০৪ টা রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে আছে।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম,আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল রেল লিংক প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মোঃসুভক্ত গীন,এরকন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ টিম লিডার রামন সিংলা,টেকমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সরত সরমা,প্রজেক্ট এজিএম বাসকর কসণী প্রমূখ।